বিবাহের পথে আসা বাধা দূর করার জন্য কিছু ব্যবস্থা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন ব্যবস্থার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।
সূচিপত্র
বিয়েতে বাধা :
হিন্দু ধর্মে বিয়ের গুরুত্ব অনেক। এটি জীবনের একটি টার্নিং পয়েন্ট যেখানে একজন ব্যক্তির সম্পর্কে সবকিছু পরিবর্তিত হয়। বিবাহ একজন ব্যক্তির সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কিন্তু অনেক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, কিছু লোক তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে সক্ষম হয় না। কিছু লোক তাদের দাম্পত্য জীবনে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়। এমন পরিস্থিতিতে এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কি করলে বিয়ের ইচ্ছা পূরণ হতে পারে
২ ০ ২ ৫ সালে বিবাহের জন্য অনেকগুলি শুভ সময় আছে, তবে আপনার বিবাহের পথ যদি এখনও খোলা না হয় তবে আপনার বিবাহ সম্পর্কিত কিছু সমাধান চেষ্টা করা উচিত। যাতে তাড়াতাড়ি বিয়ের ইচ্ছা পূরণ হয়। একই সময়ে, যাদের দাম্পত্য জীবনের বাধা শেষ হচ্ছে না তাদেরও তাদের জ্যোতিষীর সাথে পরামর্শ করে কিছু প্রতিকারের চেষ্টা করা উচিত। আসুন জেনে নিই বাল্যবিবাহের এই সমাধানগুলো কী হতে পারে…
বিবাহের প্রতিকার:
শিব-পার্বতী পূজার প্রতিকার- বিবাহে বিলম্ব বা বারবার বাধার সমস্যা দূর করতে, যদি শিব ও মা পার্বতীর সম্পূর্ণ আচার-অনুষ্ঠান করা হয়, তাহলে আপনি বাল্যবিবাহে আশীর্বাদ পাবেন।
শিবলিঙ্গে দুধ নিবেদন- শিবলিঙ্গে কাঁচা গরুর দুধ নিবেদন করলে ভগবান শিব খুব খুশি হন এবং বিবাহে আশীর্বাদ করেন।
হোয়াইট স্টার গাছের প্রতিকার- হোয়াইট স্টার উদ্ভিদ ভগবান গণেশের খুব প্রিয়। ভগবান শিবকে এর ফুল নিবেদনের প্রথা রয়েছে। এমন অবস্থায়, আপনি যদি তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চান কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও বিয়ে করতে না পারেন, তাহলে সোমবার শ্বেতার্কের ফুল ও পাতায় ‘রাম’ লিখে ভোলে বাবাকে অর্পণ করুন। বিবাহের সম্ভাবনা প্রবল হবে।
হনুমান জির পূজা করে বিবাহের আশীর্বাদ পান- যদি বিবাহে মাঙ্গলিক দোষ থাকে এবং বিবাহে দেরি হয়, তবে মঙ্গলবার পূর্ণ আচারের সাথে হনুমান জির পূজা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে করে মঙ্গল দোষের প্রভাব কমে যায় এবং বিবাহের সম্ভাবনা প্রবল হয়।
গরুকে ময়দার পেড খাওয়ান: যদি বিয়েতে বাধা আসে বা সম্পর্ক ভাঙার পথে, তাহলে বৃহস্পতিবার ময়দায় হলুদ মিশিয়ে পেঁদা বানিয়ে নিজে গরুকে খাওয়ান।