গরুড় পুরাণ: গরুড় পুরাণ বর্ণনা করেছে যে কোন কর্মের ভিত্তিতে একজন ব্যক্তির আত্মা জন্মগ্রহণ করবে এবং কোন কর্মের ভিত্তিতে ব্যক্তিকে নরকের শাস্তি ভোগ করতে হবে। আসুন আমরা আপনাকে বলি গরুড় পুরাণ অনুসারে মৃত্যুর পরে আত্মার কী হয়।
সূচিপত্র
গরুড় পুরাণ বিষ্ণু নীতি
গরুড় পুরাণ হিন্দু ধর্মের একটি বিশেষ ধর্মগ্রন্থ যা ভগবান বিষ্ণুর ভক্তি ও জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে। এটি মৃত্যু এবং তার পরবর্তী ঘটনা বর্ণনা করে। গরুড় পুরাণে একজন ব্যক্তির বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সাথে এটাও বর্ণনা করা হয়েছে যে কোন আমলের ভিত্তিতে কোন জীবনে মানুষের আত্মা জন্ম নেবে এবং কোন আমলের ভিত্তিতে তাকে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে হবে। আসুন আমরা আপনাকে বলি গরুড় পুরাণ অনুসারে মৃত্যুর পরে আত্মার কী হয়।
এই অনুভূতিগুলি আত্মায় বাস করে
গরুড় পুরাণে প্রায় ৮৪ লক্ষ প্রজাতির বর্ণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কীটপতঙ্গ, প্রাণী, পাখি, গাছ এবং মানুষ ইত্যাদির প্রজাতি। গরুড় পুরাণ অনুসারে, মানুষের মৃত্যুর পর আত্মা যখন দেহ ত্যাগ করে, তখন তার মধ্যে ক্ষুধা, তৃষ্ণা, রাগ, ঘৃণা এবং লালসার মতো আবেগ থাকে।
যমরাজের সাথে সাক্ষাৎ
গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে মৃত্যুর পর মানুষের আত্মা মৃত্যুর দেবতা যমরাজের কাছে যায়। তারপর যমলোকে, যমরাজ ব্যক্তির কৃতকর্মের ভিত্তিতে বিচার করেন। যে ব্যক্তি খারাপ কাজ করে তার আত্মাকে জাহান্নামের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। গরুড় পুরাণে একজন ব্যক্তির বিভিন্ন কর্ম অনুসারে বিভিন্ন শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। অতঃপর ব্যক্তির কৃতকর্মের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয় আত্মা তার পরবর্তী জন্ম কোন জীবনে গ্রহণ করবে।
পরবর্তী জন্ম সম্পর্কে জানা
গরুড় পুরাণ অনুসারে, একজন ব্যক্তি তার পরবর্তী জন্ম কোন জীবনে নেবেন, তা তার কৃত কর্ম দ্বারা নির্ধারিত হয়। যে ব্যক্তি খারাপ কাজ করে তার আত্মা কোন না কোন রূপে মৃত্যু জগতে অর্থাৎ পৃথিবীতে বারবার জন্ম নেয় এবং সেখানেই বিচরণ করে। অন্যদিকে, যদি কোনো ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে মারা না গিয়ে দুর্ঘটনা, খুন বা আত্মহত্যা ইত্যাদির মতো অকালে মৃত্যুবরণ করেন, তবে এমন ব্যক্তির আত্মা ভূতের জগতে চলে যায়।