বাস্তুশাস্ত্রে ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করার জন্য অনেক উপায়ের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আপনিও যদি বাস্তু দোষের কারণে জীবনে অসুবিধার সম্মুখীন হন, তাহলে আজ আমরা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি গুগ্গল ধূপের প্রতিকার, যা চেষ্টা করে ঘর থেকে বাস্তু দোষ দূর হয়, আসুন জেনে নিন।
সনাতন ধর্মে বাস্তুশাস্ত্রকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই ঘর বানানো থেকে শুরু করে জিনিসপত্র সাজানো পর্যন্ত বাস্তুর নিয়ম মেনে চলা হয়। বাস্তুর এই নিয়মগুলি মেনে চললে ঘরে থাকে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি। কিন্তু আপনি যদি এই বাস্তু নিয়মগুলিকে উপেক্ষা করেন তবে এগুলি বাড়ির বাস্তু ত্রুটির কারণ হয়ে ওঠে কারণ একবার বাস্তু ত্রুটি দেখা দিলে বাড়ির সদস্যদের জীবনে বাধা এবং সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এর পাশাপাশি পারিবারিক কলহের পরিস্থিতিও বিরাজ করে যা বাড়ির সুখ-শান্তি নষ্ট করে। এ কারণে আর্থিক সংকটেও পড়তে হয়। তাই বাস্তুশাস্ত্রে উল্লেখিত এই নিয়মগুলো মেনে চলা খুবই জরুরি। বাস্তুশাস্ত্রে, ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করার জন্য অনেক উপায়ের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আপনিও যদি বাস্তু দোষের কারণে জীবনে অসুবিধার সম্মুখীন হন, তাহলে আজ আমরা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি গুগ্গল ধূপের প্রতিকার, যা চেষ্টা করে ঘর থেকে বাস্তু দোষ দূর হয়, আসুন জেনে নিন।
সূচিপত্র
পারিবারিক ঝামেলা দূর হয়
যদি আপনার বাড়িতে সবসময় ঝগড়া বা বিবাদের পরিস্থিতি থাকে তবে অবশ্যই গুগ্গল ধূপ জ্বালান। একাদশী, ত্রয়োদশী, অমাবস্যা, পূর্ণিমা তিথির মতো এই বিশেষ দিনগুলিতে এটি করলে ঘরের সমস্ত নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। এটি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করে এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়।
নেতিবাচকতা ধ্বংস করে
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, হলুদ সরিষাকে ধূপের সাথে মিশিয়ে টানা ৭ দিন সূর্যের আলোতে জ্বালিয়ে রাখলে নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয় এবং ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি আসে। বিশেষ করে শনিবার থেকে এই প্রতিকার শুরু করুন। এই দিন সন্ধ্যায় পূজা-আরতি করার পর গুগ্গল ধূপ জ্বালান। তারপর তার ধোঁয়া সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
খারাপ কাজ করা হয়
যদি আপনার কাজ বারবার নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে আপনি গুগ্গল ধুপের এই প্রতিকারটি ব্যবহার করতে পারেন। এই প্রতিকারের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যায় গোবরে খাঁটি ঘি, হলুদ সরিষা, লোবান এবং গুগল জ্বাল দিন। আপনাকে এই প্রতিকারটি ক্রমাগত 21 দিন করতে হবে, এটি ধীরে ধীরে আপনার সমস্ত কাজ সম্পন্ন করতে সাহায্য করবে।