নতুন বছর শুরুর আগে কিছু বাস্তু প্রতিকার অবলম্বন করলে আপনি দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে পারেন। এটি আপনার জীবনকে সম্পদ, সমৃদ্ধি এবং ইতিবাচক শক্তি দিয়ে পূর্ণ করবে।
নতুন বছর ২ ০ ২ ৫ এর জন্য বাস্তু টিপস:
বাস্তুশাস্ত্র হল একটি প্রাচীন বিজ্ঞান, যার মাধ্যমে আমরা আমাদের বাড়িতে এবং কর্মক্ষেত্রে জিনিসগুলিকে সঠিক দিকে রাখার জ্ঞান লাভ করি। প্রতিটি বস্তুর একটি উপযুক্ত দিক রয়েছে, যদি এটি সঠিক দিকে না রাখা হয় তবে এটি বাস্তু ত্রুটির কারণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক সময় ঘরে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে, যার ফলে জীবনে নানা বাধা আসতে শুরু করে। আপনি যদি চান যে আগামী বছরে আপনার বাড়িতে সুখ এবং সমৃদ্ধি থাকবে, তাহলে নতুন বছরের শুরুর আগে কিছু বাস্তু প্রতিকার গ্রহণ করে আপনি দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে পারেন। এটি আপনার জীবনকে সম্পদ, সমৃদ্ধি এবং ইতিবাচক শক্তি দিয়ে পূর্ণ করবে।
পূজার স্থানের অবস্থান: (২ ০ ২ ৫ এর জন্য বাস্তু টিপস)
ঘরে পূজার স্থানের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মন্দিরের বাইরে কোনও সদস্যের ছবি রাখা উচিত নয় এবং সেখানে জুতো ও চপ্পল রাখা উচিত নয়। তদুপরি, বাড়ির পুজোর স্থান কখনই রান্নাঘরে স্থাপন করা উচিত নয়, কারণ এটি গুরুতর বাস্তু ত্রুটি তৈরি করতে পারে। সর্বদা একটি পরিষ্কার এবং নিরিবিলি জায়গায় পূজা স্থান স্থাপন করুন.
রান্নাঘর এবং বাথরুমের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: (২ ০ ২ ৫ এর জন্য বাস্তু টিপস)
বাস্তুশাস্ত্রে রান্নাঘর এবং বাথরুমের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। যদি এই স্থানগুলি নোংরা থাকে তবে এর প্রভাব আপনার জীবনে শনি এবং রাহুর নেতিবাচক প্রভাবের আকারে দেখা যেতে পারে। এটি শুধুমাত্র মানসিক চাপ বাড়ায় না আপনার সাফল্যকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে। রান্নাঘরে চুলা এবং সিঙ্ক একে অপরের বিপরীতে রাখা এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি নেতিবাচক শক্তিকেও আমন্ত্রণ জানাতে পারে।
ঝাড়ু দেওয়ার সঠিক সময়: (২ ০ ২ ৫ এর জন্য বাস্তু টিপস)
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্ধ্যার পর ঘর ঝাড়ু দেওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এটি করলে দেবী লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হতে পারেন এবং ঘরে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বাড়তে পারে। সকাল-বিকাল ঘর পরিষ্কার করলে ইতিবাচক শক্তি আসে।
প্রধান ফটকের গুরুত্বঃ (২ ০ ২ ৫ এর জন্য বাস্তু টিপস)
বাস্তুতে প্রধান ফটককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেওয়া হয়েছে। জুতার র্যাক কখনই মূল দরজার কাছে বা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখা উচিত নয়, কারণ এতে ঘরে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারে। প্রধান ফটকে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি বা মূর্তি স্থাপন করা শুভ বলে মনে করা হয়। এটি নেতিবাচক শক্তিকে ঘরে প্রবেশ করতে বাধা দেয় এবং ঘরে ইতিবাচকতা বজায় রাখে।
জিনিসগুলিকে সঠিক দিকে বজায় রাখলে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যত্ন নিলে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব দূর হয়। এছাড়াও বাড়িতে একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়। ইতিবাচক শক্তির সাথে নতুন বছর শুরু করা সারা বছর আপনার জীবনে সমৃদ্ধি এবং সুখ নিয়ে আসবে।
