রাহুর অশুভ ছায়া পড়লে ব্যক্তির মন ভারসাম্যহীন ও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। রাহু যদি অশুভ ফল দেয় তবে তা শান্ত করার চেষ্টা করা উচিত। আসুন জেনে নেই রাহুর শান্তির প্রতিকার।
রাহুর প্রতিকার : জ্যোতিষশাস্ত্রে রাহুকে নিষ্ঠুর ও নির্দয় গ্রহ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। কুণ্ডলীতে রাহু দোষ থাকলে ব্যক্তির জীবনে অনেক অশুভ ঘটনা ঘটতে শুরু করে। অনিদ্রা, ভীতিকর স্বপ্ন, ঘুমের মধ্যে বারবার ভয় পাওয়া, শরীরে দুর্বলতা বা অতিরিক্ত অলসতা রাহুর অশুভতা নির্দেশ করে। রাহু যখন অশুভ ফল দিচ্ছে তখন তাকে শান্ত করার চেষ্টা করা উচিত। আসুন জেনে নিই রাহু দোষে কী কী লক্ষণ দেখা যায় এবং তা দূর করার সহজ সমাধান কী।
সূচিপত্র
রাহু দোষের লক্ষণ (রাহু দোষের লক্ষণ)
রাহুর দোষ ও অশুভ প্রভাবের কারণে নখ ও চুল পড়া শুরু হয়। রাহুর অশুভ ছায়ার কারণে ঘরে উপস্থিত পোষা পাখি মারা যায়। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয় এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মারামারি চরমে পৌঁছে। রাহুর অশুভ ছায়া পড়লে বাড়ির চারপাশে বারবার সাপ দেখা যায়। ব্যক্তির মন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে এবং সে বেশিরভাগ সময় বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে।
রাহু দোষ দূর করার প্রতিকার
রাহুর ভারসাম্যহীন অবস্থান জীবনে চাপ এবং অসুবিধা নিয়ে আসে। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্ক সমাধান নয়। কুণ্ডলীতে রাহুর অবস্থান ঠিক করতে প্রতি সোম ও শনিবার শিবলিঙ্গে জল নিবেদন করুন এবং কালো তিল নিবেদন করুন। সকালে স্নান করার পরে, ‘ওম রাম রহভে নমঃ’ মন্ত্রটি 108 বার জপ করতে হবে। জলে কুশ যোগ করে স্নান করলেও রাহু দোষ কমে যায়। বুধবার থেকে সাত দিন কালো কুকুরকে মিষ্টি রুটি খাওয়ালে রাহু দোষ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।
যাদের রাশিতে রাহু পীড়িত তাদের নীল রঙের পোশাক পরা উচিত এবং মদ ও মাংস পরিহার করা উচিত। যারা রাহুর অশুভ প্রভাবে উদ্বিগ্ন তাদের ভগবান শিবের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।সত্যিকারের চিত্তে ভগবান শিবের পূজা করলে ভগবান শিব খুশি হন এবং রাহুর নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস পায়। রাহুর মহাদশায় উদ্বিগ্ন ব্যক্তির শিব সাহিত্য, শিবপুরাণ ইত্যাদি পাঠ করা উচিত।